গ্রেপ্তার হওয়া অপর ছিনতাইকারীরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা কাজী ইব্রাহিম, সাজেদুর রহমান বাপ্পি, যুবলীগ নেতা এবাদ মোড়ল, মিণ্টু মুন্সি, মাছ ব্যবসায়ী আছাদুল হক ও ট্রাক ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম।
ডুমুরিয়া থানার ওসি মশিউর রহমান কালের কণ্ঠ অনলাইনকে বলেন, গত রবিবার রাতে কয়রা উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী আসাদুল আরও কয়েক ব্যবসায়ীর চিংড়ি ট্রাকযোগে খুলনায় এনে মক্কা ফিশে বিক্রি করেন। সোমবার সকালে তারা ওই চিংড়ি বিক্রির ১৭ লাখ ৫০০ টাকাসহ ট্রাকে বরফ বোঝাই করে ফের কয়রার উদ্দেশ্য রওনা দেন। সকাল ৭টার দিকে ট্রাকটি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জিলেরডাঙ্গা নামক স্থানে পৌঁছালে ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুরের নেতৃত্বে দুটি মোটরসাইকেলে ৭-৮ জন তাদের গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা ট্রাক ড্রাইভার সিরাজুলের মাথায় আঘাত করে তার সিটের নীচে রাখা ১৭ লাখ ৫০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওসি আরো বলেন, ওই ঘটনায় কয়রার অপর মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন ও ড্রাইভার সিরাজুলসহ ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার পর ড্রাইভার সিরাজুলকে জিজ্ঞাসাদ করলে ছিনতাই রহস্য উদঘাটিত হয়। পরে রূপসা থেকে পলাতক ব্যবসায়ী আসাদুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। উভয়কে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার এসব রহস্য বেরিয়ে আসে।
পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর বলেন, মূলত ব্যবসায়ী আসাদুল হক, তার ভাই রেজওয়ান হোসেন ও ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাতে জড়িতরা নগরীর সোসাইটি ও দৌলতপুরের একটি বস্তিতে বৈঠকও করেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কাজী ইব্রাহিম, সাজেদুর রহমান বাপ্পি, যুবলীগ নেতা এবাদ মোড়ল, মিন্টু মুন্সিকে গ্রেপ্তার ও পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত রেজওয়ান হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা সবুজ, শিমুল, কাজল ও অজ্ঞাত আরও একজন পলাতক রয়েছে।
– See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2014/06/04/92366#sthash.G3rl4XW6.dpuf